সিদ্ধান্ত এবং রোড ম্যাপ : অনেকেই প্রশ্ন করেন স্টুডেন্টকলিগ করা ঠিক হবে নাকি সরাসরি ব্যাচেলার প্রোগ্রামে আবেদন করা সঠিক হবে?
এই প্রশ্নের সোজা সাপ্টা উত্তর হল, এই সিদ্ধান্ত আপনাকেই নিতে হবে তবে হ্যাঁ স্টুডেন্টকলিগ এবং সরাসরি ব্যাচেলর কোর্সের এর সুযোগ-সুবিধা প্রথম জেনে নিতে পারেন। এতে করে আপনার সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হবে। নিজেই বুজতে পারবেন কোন কোর্স অাপনার জন্য বেষ্ট হবে।
স্টুডেন্টকলিগ এবং সরাসরি ব্যাচেলর এর সুযোগ সুবিধা জানতে এই লিংকে ক্লিক করুন।
সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর আপনাকে প্রথমেই একটা রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে। যে রোডম্যাপ আপনাকে আবেদন করার এই পুরো প্রসিডিউর সঠিক এবং টাইম পিরিয়ডের মধ্যে কমপ্লিট করতে সাহায্য করবে।
কাদের জন্য স্টুডেন্টকলিগ কলেজ? : বাংলাদেশ থেকে কোন শিক্ষার্থীরা স্টুডেন্টকলিগ কলেজে আবেদন করতে পারবে, সেটা জেনে নেওয়া খুব বেশি দরকার। সাধারণত যে সকল স্টুডেন্টদের সবেমাত্র এইচএসসি কমপ্লিট করেছে , অথবা সবে মাত্র ৪ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা কমপ্লিট করেছে , এবং জার্মানিতে ব্যাচেলর প্রোগ্রামে আবেদন করতে চাই বা পড়াশোনা করতে চাই, তাদের সকলকে এই কোর্সে অাবেদন করতে হবে এবং ভাল ভাবে সম্পূর্ণ করতে হবে।
জার্মান ভাষা : স্টুডেন্টকলিগ কলেজে আবেদন করার প্রথম রিকোয়ারমেন্ট হলো, জার্মান ল্যাঙ্গুয়েজ মিনিমাম বি১ পর্যন্ত কমপ্লিট করতে হবে , অর্থাৎ আপনি যদি স্টুডেন্টকলিগ কলেজে আবেদন করতে চান প্রথমে জার্মান ল্যাঙ্গুয়েজ মিনিমাম বি১ লেভেল পর্যন্ত কমপ্লিট করুন। জার্মান ল্যাঙ্গুয়েজ কোথায় করবেন, কোথায় পরীক্ষা দিবেন নিচের লিঙ্কে বিস্তারিত পেয়ে যাবে |
Meet all requirement: বি১ ছাড়াও অন্য সকল রিকুয়ারমেন্ট আপনাকে কমপ্লিট করতে হবে।
স্টুডেন্টকলিগ কলেজ অফার করে এরকম ইউনিভার্সিটির প্রত্যেকটা ইউনিভার্সিটি আলাদা আলাদা রিকোয়ারমেন্ট বা আলাদা আলাদা ডকুমেন্ট আপনার কাছ থেকে ডিমান্ড করতে পারে।
তাই সকল রিকোয়ারমেন্ট দেখার জন্য বা সকল রিকোয়ারমেন্ট কমপ্লিট করার জন্য আপনার পছন্দের স্টুডেন্টকলিগ কলেজের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন এবং সেখান থেকে বিস্তারিত আপডেট নিউজ গুলো সংগ্রহ করুন। এবং রিকুয়ারমেন্ট গুলো অাবেদন করার অাগেই কমপ্লিট করার চেষ্টা করুন।
যেমন ঃ পাসপোর্ট, সার্টিফিকেট কোথায় থেকে নোটারী করাতে হবে, উকিলদের কাছ থেকে নাকি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে। ইত্যাদি ইত্যাদি।
সরাসরি আবেদন নাকি Uni-assist এর আবেদন করতে হবে :
সাধারণত স্টুডেন্টকলিগ কলেজ দুইভাবে আবেদন গ্রহণ করতে পারে, এটা পুরোপুরি নির্ভর করেন স্টুডেন্ট কলেজের নিজস্ব নিয়ম নীতির এর উপর।
তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই স্টুডেন্টকলিগ সরাসরি পোস্টে আপনার আবেদন সেন্ড করতে বলে।
যদি তারা ডিরেক্টলি বাই পোষ্টে সেন্ড করতে বলে তাহলে পোস্টে আবেদন সেন্ড করবেন আর যদি uni-assist এর মাধ্যমে আবেদন করতে বলে তাহলে ডেফিনেটলি আপনাকে uni-assist এর আবেদন করতে হবে।
সঠিক এবং বিস্তারিত তথ্যের জন্য সেই স্টুডেন্টকলিগ কলেজের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন নিয়মিত।
আমন্ত্রণপত্র ; আবেদন করার শেষে আপনাকে তারা দুই ধরনের ফিডব্যাক জানাতে পারেন।
হয় রিজেকশন, অথবা ইনভাইটেশন। সামহাউ যদি কোন কারণে তারা আপনাকে রিজেক্ট করে দেয় তাহলে ডেফিনেটলি রিজেকশন লেটারে মেনশন করা থাকবে, কেন তারা আপনাকে রিজেক্ট করেছে।
অন্যদিকে যদি আপনাকে কারা ইনভাইটেশন লেটার দিয়ে থাকে তাহলে এই জার্নি শুরু করার দৌড়ে আপনাকে সুস্বাগতম।
জার্মান ভিসা :আমন্ত্রণ পত্র পাওয়ার সাথে সাথে আনন্দে দিশাহারা হবেন না বরং পরবর্তী যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করুন। এম্বাসিতে ভিসা ইন্টারভিউ দেওয়ার জন্য ভিসা অ্যাপয়েন্ত্মেন্ট Fixed করুন এবং ব্লক একাউন্ট কমপ্লিট করার চেষ্টা করেন ভিসা ইন্টারভিউ দেওয়ার আগে।
পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করুন : যেহেতু আমি আগেই বলেছিলাম আপনি শুধুমাত্র একটি আমন্ত্রণপত্র পাবেন অর্থাৎ সে আমন্ত্রণপত্র এমন না যে অাপনি স্টুডেন্টকলিগ কলেজের স্টুডেন্ট হয়ে গিয়েছেন বরং এটা শুধু মাত্র একটা ইনভাইটেশন লেটার অর্থাৎ এডমিশন পরীক্ষা দিয়ে তাদের স্টুডেন্টকলিগ কলেজে এডমিট হতে হবে।
কাজেই সেই পরিক্ষার জন্য প্রিপারেশন নিতে হবে।
জার্মানিতে Information Technology নিয়ে পড়াশুনা করছি। পড়াশোনার পাশাপাশি প্রোগ্রামিং ল্যান্গুয়েজ এবং জার্মানিতে উচ্চ শিক্ষা বিষয়ক দিক নির্দেশনামূলক ব্লগ লিখার চেষ্টা করছি।
ভালো লাগলো
ধন্যবাদ। অাশা করছি অাপকামিং স্টুডেন্টেসদের কাজে অাসবে। সাথেই থাকুন।