ব্যার্থ উলঙ্গতার দায় নিয়ে এখনো দাড়িয়ে অাছি। অারও কত জন কে মনে রাখতে হবে কে জানে, স্বাধীন হয়েছি অনেক দিন। কিন্তু এখনো বাকস্বাধীনতাই তো পায়নি, মৌলিক অধিকার বাদি দিলাম।
“চারিদিকে মৃত্যুময় ভ্রুণের হাহাকারে চিরন্তনের বোম্বেটে খেলা। সুদূরমগ্নতায়, সুদূর অালোর মাঝে অথবা গভীর অন্ধকারের মাঝে শুরু হয় ধংস্বের রক্তপাত। ব্যার্থ উলঙ্গতার দায় নিয়ে এখনো দাড়িয়ে অাছি।”
—— বাংলাদেশ —–
আব্বাসীয় খলিফা হারুন আল-রশিদ (৭৮৬-৮০৯) এর মত ছাত্রলীগ নিজেদের “পৃথিবীতে ঈশ্বরের ছায়া” মনে করে। খলিফা রাজ্যে ঘোরাঘুরি করতেন দুই পাশে দুই জল্লাদ নিয়ে এটা বোঝানোর জন্য যে যেকোন সময় যেকারো প্রাণহরণ করার ক্ষমতা তার আছে।
ক্ষমতার দম্ভ আর সীমাহীন লালসা ছাত্রলীগকে আজ জল্লাদে পরিণত করেছে। ২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহের পর হুমায়ুন আহমেদ লিখেছিলেন, সাপের পেটে সাপ জন্মায়, বনের হিংস্র বাঘের গর্ভে বাঘ, মানুষই একমাত্র প্রাণি যারা মানব ও দানব উভয়ের জন্ম দেয়। ছাত্রলীগের সবাই নয়, কেউ কেউ মানুষের গর্ভে জন্ম নেয়া দানব। ছাত্রলীগ আজ পৃথিবীর একটি অন্যতম সন্ত্রাসী সংগঠন।
বহু জঙ্গি সংগঠনের মত এদেরও নিষিদ্ধ করার সময় বহু আগেই পার হয়ে গেছে। তারা মনুষ্যবর্জিত পুঁতিগন্ধময় বিষ্ঠায় পরিণত হয়েছে। রাস্তার বেওয়ারিশ কুকুরের মত নিজেরা কামড়া কামড়ি করে মরার মধ্যে এতদিন এদের কৃতকর্ম সীমাবদ্ধ ছিল।
আবরারের কোমল পিঠ থেঁতলে দেওয়ার মাধ্যমে আজ হতে ভিন্নমত প্রকাশকারীদের স্তব্ধ করার সংস্কৃতি শুরু করলো। ঢাকায় আমি আর আমার বড় ভাই একসাথে মেসে থাকতাম। আমার ভীতিকর কাব্যপ্রতিভা দেখে ভাই আমার নাম দিল হিমনেন্দ্রনাথ ঠাকুর। এতকাল বাদে আজ আমি আবার দু’লাইনের কবিতা লিখেছি, তামাম সৌরজগতে যে কবিতা কেউ কোনকালে লেখেনি, কেউ শোনেনি। আপনাদের শোনাইঃ
ছাত্রলীগ পরিচয় পেলেই গণপিটুনি শুরু হতে আর কত দেরি, হে পাঞ্জেরি!
( কপি ঃ জার্মান প্রবাসে)
জার্মানিতে Information Technology নিয়ে পড়াশুনা করছি। পড়াশোনার পাশাপাশি প্রোগ্রামিং ল্যান্গুয়েজ এবং জার্মানিতে উচ্চ শিক্ষা বিষয়ক দিক নির্দেশনামূলক ব্লগ লিখার চেষ্টা করছি।